হাশেম ফুডসে ৫২ প্রাণহানির মামলা সিআইডিতে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় হাশেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জের ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডসের এই কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামের দুই শ্রমিকের লাশ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুরসালিন (২২) নামের এক কর্মী রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছিলেন। পরদিন ৯ জুলাই দুপুরে কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৯টি লাশ। লাশগুলো পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিয়ে আসা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর পরই গোটা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। শনিবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিস তল্লাশি অভিযান শেষ করে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গত ১৭ জুলাই সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই দিনই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক ফাহমিদা খানম প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তাঁর চার ছেলে হাসিব বিন হাশেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীম এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, হাশেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও অ্যাডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।