হাসপাতালে আর একটা বেড ঢোকারও জায়গা নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘যতটুকু বেড বাড়ানো সম্ভব আমরা বাড়িয়েছি। হাসপাতালের ভেতরে আর একটা বেড ঢোকারও জায়গা নেই। সে কারণে আমরা নতুন ভবনও খুঁজি। নতুন ভবনও এখন পাওয়া যায় না। ভবন পাওয়া গেলেই তো হবে না। ডাক্তার থাকতে হবে, নার্স থাকতে হবে, যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। আমরা সেটাও চেষ্টা করছি।’
আজ রোববার রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে প্রথমবর্ষের এমবিবিএস ক্লাসের (২০২০-২১) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক আশঙ্কা পোষণ করে বলেন, চলমান কঠোর লকডাউনে (বিধিনিষেধ) গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকবে। তিনি বলেন, গার্মেন্টসহ রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানাগুলো খুলে দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মীরা দলে দলে এসে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। আসার সময় তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয়নি। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। তারপরেও জীবনের জন্য জীবিকার দরকার হয়।
‘এক সপ্তাহে এক কোটি টিকা’
দেশব্যাপী ব্যাপক হারে টিকা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে টিকার ক্যাম্প করা হবে। টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা লাগবে না। ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গেলেই হবে। যাদের কার্ড নেই তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে। আগামী এক সপ্তাহে আরও এক কোটি মানুষকে করোনার টিকার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলে সংক্রমণ কম হচ্ছে। কুমিল্লায় অঞ্চলে বাড়ছে। ফলে আমাদের আরও কিছুদিন সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর, বিএমএর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।