হাসপাতালে লোক ডেকে রোগীর স্বামীকে জখম করলেন ‘নার্স’
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর স্বামীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। কথা কাটাকাটির জেরে হাসপাতালের নার্স ফোন করে লোক ডেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাসেল নামের আহত ওই ব্যক্তিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, আহত রাসেল শহরের টেপাখোলা বিন্দাবনের মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিন দিন ধরে তাঁর স্ত্রী হীরা হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। চিকিৎসক হীরার রক্ত পরীক্ষা করাতে বলেন। কিন্তু, রাতে হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব বন্ধ ছিল। এজন্য বাইরে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করানোর জন্য নার্স ইলা শিকদারকে রোগীর শরীর থেকে সিরিঞ্জে দিয়ে রক্ত টেনে দিতে বলেন। দায়িত্বরত নার্স ইলা রক্ত টেনে দেওয়া তাঁর দায়িত্ব নয় জানিয়ে রাসেলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
আরেক অভিযোগসূত্র বলছে, “রাসেল ওই নার্সকে বলেন, ‘সরকারি বেতন খান, রক্ত নিয়ে দেবেন না কেন।’ এরপর ইলা শিকদার রাসেলের নামে নালিশ করেন হাসপাতালের নার্স সুপারভাইজার জহুরা বেগমের কাছে। একই সঙ্গে শহরের খাবাসপুর এলাকার যুবলীগ কর্মী দেবাশীষ নয়নকে ফোন করে ডেকে আনেন ওই নার্স।”
আহত রাসেলের স্ত্রী হীরার অভিযোগ করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নার্স ইলা শিকদারই দেবাশীষ নয়নকে ডেকে এনে তাঁর স্বামীকে কুপিয়েছেন। রাসেল নার্স সুপারভাইজারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে বের হওয়ার পরই তাঁর স্বামীর ওপর হামলা হয়।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নার্স সুপারভাইজার জহুরা বেগম বলেন, ‘রোগী ও নার্সের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা মিটমাট করেছি। কিন্তু, এ ঘটনায় ইলা জড়িত কি না, সেটা আমার জানা নেই।’
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুজ্জামান আহত রাসেলের বিষয়ে বলেন, ‘আহত রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। এখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে আসা পুলিশ কর্মকর্তা কোনো বক্তব্য দেননি। তবে, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনা তদন্ত করছেন বলে জানান তাঁরা।