হিলিতে ভারতীয় আমের দাপট, দাম চড়া
দেশীয় আম বাজারে আসতে এখনও সপ্তাহ দুয়েক লাগবে। কিন্তু এরই মধ্যে বাজার দখল করে নিয়েছে ভারতীয় আম। এখন একচ্ছত্র চলছে বাজারে এই ভারতীয় আমের দাপট। তাই রমজানে ইফতারিতে যোগ হয়েছে দেশীয় আমের পরিবর্তে ভিনদেশি এই আম।
তবে ভারতীয় আম বৈধপথে আমদানি না হলেও সীমান্তের চোরাই পথ গলিয়ে দেশে আসছে। আজ শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের বাংলাহিলি বাজারসহ বিভিন্ন ফলের দোকানে ভারতীয় আম বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারের বিভিন্ন ফলে দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি নানা রঙের আম শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে। দাম অনেকটাই চড়া। বলতে গেলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তারপরেও ইফতারের আইটেমে ভারতীয় আম রাখার জন্য কিনছেন ক্রেতারা। দেশীয় আম বাজারে ওঠেনি। তাই সেই সুযোগ নিচ্ছে ফল বিক্রেতারাও।
বাংলাহিলি বাজারের ফল বিক্রেতা সবুজ হোসেন বলেন, ‘প্রতি রমজানে বাজারে বিভিন্ন ফলের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। এই সময় তরমুজ, আনারস, আপেল, মাল্টা, আঙুর, পেয়ারাসহ মোটামুটি সব ধরনের ফলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু এ সময়ে দেশীয় আম সচরাচর পাওয়া যায় না। গত কয়েকদিন ধরে বাজারে ভারতীয় বিক্রি করা হচ্ছে। বেচাবিক্রিও হচ্ছে ভালো।’
চারমাথার ফলের দোকানদার ইউসুফ আলী বলেন, ‘রমজানের অর্ধেক সময় পর্যন্ত বাজারে আমের দেখা পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে কয়েকদিন থেকে ভারতীয় আম আসছে। প্রায় প্রতিদিন হিলি, কাটলা, চেঁচড়াসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাইভাবে অল্প পরিমাণে আম দেশে আসছে। টোকাইদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে আমরা বাজারে বিক্রি করছি। দেশীয় আম বাজারে আসতে এখনও দেরি আছে। দেশি আম বাজারে উঠলেই দাম অনেক কমে যাবে।’
বাজারের ফল বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘স্থানীয় বিভিন্ন ফলের দোকানে চমকপ্রদ রঙের আম শোভা পাচ্ছে। যার সবই ভারতীয় সুস্বাদু আম। এসব আমের মধ্যে রয়েছে সুন্দরী, গোলাপ খাস, বেগমফুলি। আমরা আমের জাত ভেদে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
বাংলাহিলি বাজারে আম কিনতে আসা হামিদা আকতার, নুর ইসলাম ও আলিমুজ্জামান জানান, ইফতারের জন্য অন্য ফল কিনতে এসে দেখছি আমও পাওয়া যাচ্ছে। তাই লোভ সামলাতে পারলাম না। একটু আম কিনে নিলাম। দাম বেশি হলেও বাজারে প্রথম উঠেছে। তাই কি আর করার।