হিলিতে ২৪ স্বর্ণের বার জব্দের ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্টে আড়াই কেজি ওজনের ২৪টি স্বর্ণের বার জব্দের ঘটনায় পাঁচ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার হিলি কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদরের বাসুদেবপুর গ্রামের নিমাই দাসের ছেলে মনোরঞ্জন দাস (৪০), একই উপজেলার শামসুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪২), ঘিওর উপজেলার নয়াচর গ্রামের মিনহাজ উদ্দীনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৪১), একই উপজেলার রামদিয়ানারী গ্রামের মোতালেব মোল্লার ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৪) এবং গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের লকিহার গ্রামের আজগর আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান (৩৮)।
পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ২৪টি স্বর্ণের বারসহ ওই পাঁচ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীকে কাস্টমস গোয়েন্দা আটক করে। ওই স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তা শোয়েব রায়হান বলেন, ‘গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে ভারতে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে হিলি চেকপোস্টে অবস্থান নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর পাঁচ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভারতে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে কাস্টমস গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শরীরে অভিনব কায়দায় রাখা ২৪টি স্বর্ণের বারসহ তাঁদের আটক করা হয়।
স্বর্ণ পাচারকারী মনোরঞ্জন দাস বলেন, ‘তিনি নিজেই ঢাকার তাঁতীবাজারের স্বর্ণের মহাজন লাবুকে কিছু টাকা জমা দিয়ে স্বর্ণগুলো কিনেছেন। কলকাতার নিউমার্কেটের নিতাইয়ের কাছে বিক্রির উদ্দেশে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। হিলি চেকপোস্টের দালাল রাজু তাঁকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করেন।
মামলার বাদী হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘স্বর্ণ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি (১)(এ) ধারায় মামলা করা হয়। পাচারের উদ্দেশে স্বর্ণগুলো হিলি চেকপোস্টে এনেছিলেন।’
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বলেন, স্বর্ণসহ আটক পাঁচজনের নামে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরেই তাঁদের দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়। আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।’