হিলি ও লালমনিরহাট স্থলবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব ভারতের : সুজন
‘ভারত তাদের আসামসহ সেভেন সিস্টারের সঙ্গে রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের হিলি ও লালমনিরহাট স্থলবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি পাবে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে’ বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় বিরামপুর রেল স্টেশনে নির্মাধীন ইয়ার্ডের জায়গা ও রেলস্টেশনের নতুন ভবন নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সব রেলপথকে ডাবল লাইনে করা হবে। সরকার এই লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। ভারত তাদের আসামসহ সেভেন সিস্টারের সঙ্গে রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের হিলি ও লালমনিরহাট স্থলবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি পাবে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। আমরা এই বিষয়টি ভেবে দেখছি।’
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, দিনাজপুরের হিলি রেল স্টেশনে ইয়ার্ড ছিল। ফলে সেখানে পণ্য লোড-আনলোড করা হতো। কিন্তু ভারতের বর্ডারের কাছে হওয়ায় পণ্য লোড-আনলোডে তারা আপত্তি দিয়েছে। এ কারণে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ থাকায় এখান থেকে সরিয়ে বিরামপুর রেল স্টেশনে ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে এখন থেকে পরিবহণের মাধ্যমে ট্রেনের মালামাল দেশের সব জায়গায় পণ্য পাঠানো যাবে।
এ সময় রেলপথমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার, পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাছ আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, যাত্রী সেবার মান ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনের বগি আরও বাড়ানো হবে। রেলের আরও অনেক সংস্কারকাজ করা হবে। সব রেল স্টেশনকে আধুনিকায়ন ও নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। যার প্রমাণ হিসেবে বিরামপুর রেল স্টেশনে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে।
হিলি রেল স্টেশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন ঘটনা ঘটার কারণে কিন্তু হিলি রেল স্টেশনের কিছু কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা পরীক্ষা করে দেখব, চলমান কাজ কেন বন্ধ হয়ে গেল। যদি ভারতের দিক থেকে আর কোনো আপত্তি না থাকে বা আমাদের দিক থেকে যেসব ঘটনার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল—সেই সমস্যাগুলো যদি আর না থাকে তাহলে আমরা চেষ্টা করব সেখানে স্টপেজ বাড়ানোর। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানে নতুন কোনো ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে না।
তবে পশ্চিমপাশ থেকে পূর্বপাশে রেল স্টেশন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী ভেবে দেখার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে বিরামপুর রেল স্টেশনে ইয়ার্ড নির্মাণ ও রেলস্টেশনের ভবণ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে রেল স্টেশনটির ৮০ ভাগ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।