হেফাজতের রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু রাজনৈতিক বেড়াজালে পড়ে তারা রাজনৈতিক অভিলাষ থেকে নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। হেফাজতের নেতাদের রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটা নস্যাৎ করে দিয়েছে।
আজ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত যে ঘটনার জন্ম দিয়েছিল ওই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো যায় কি-না সেই উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা চালিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় হেফাজতের এ তৎপরতা নস্যাৎ হয়ে যায়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি দেখেছেন, হেফাজতের কর্মীরা ভূমি অফিসে জমির সব ধরনের কাগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ডিসির বাংলো, সরকারি অফিস এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এমনকি তারা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ইনস্টিটিউটেও ভাঙচুর চালিয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্যে ছিল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা।
হেফাজতে ইসলামের নেতাদের নামে দায়ের হওয়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হেফাজতের ফিন্যান্স যারা করেছে তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি, তবে এখনই অ্যানাউন্স করতে চাই না। তদন্ত শেষে আমরা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারব।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাওলানা বাবুনগরীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মামলা ছিল। সে সময় তিনি আটকও হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যেগুলো মামলা হয়েছে, সবগুলো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন সবার জন্য সমান।
আইন সবার জন্য সমান হয়ে থাকলে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলেই বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়,তিনি যেই হোন। কেউ অপরাধ করে থাকলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।