হেলিকপ্টারে কনে ছাড়া ফিরলেন বর
হেলিকপ্টারে চড়ে এসেছিলেন বর। কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় বাদ সাধেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পরে বিয়ে না করেই হেলিকপ্টারে ফিরতে হলো বরকে। গতকাল শুক্রবার এমন ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, স্থানীয় মৌদাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার এক যুবকের।
শুক্রবার কনের এলাকা পূর্বধলা উপজেলা সদরের রাজপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। হেলিকপ্টারে চড়ে বর বেলা পৌনে ২টার দিকে উপজেলার জগৎমনি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামেন। অন্য বরযাত্রীরা আসেন সড়কপথে।
পূর্বধলায় প্রথম বারের মতো হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বর দেখতে উপজেলার আশপাশের গ্রামের উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
খবর পেয়ে পূর্বধলা উপজেলার ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স পুলিশ নিয়ে বিকেলে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়েটি ভেঙে দেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না বলে কনে পক্ষের কাছ থেকে নেওয়া হয় মুচলেকা।
এ সময় পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, ‘ভুয়া জন্মসনদ দিয়ে এক স্কুলছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। জন্মসদনটি যাচাইয়ের পরে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘ইউএনও বাল্যবিয়ের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। তাঁকে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’