হেলেনা জাহাঙ্গীরের নামে কী কী মামলা হবে, জানা যাবে বিকেলে : র্যাব
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ‘র্যাব হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় ও আইপি টিভিতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে আমরা বিভিন্ন অবৈধ জিনিসপত্র জব্দ করেছি। এখন আমরা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, পর্যালোচনা করছি। আমরা বিকেলে বলতে পারব, তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোন আইনের ধারায় মামলা করে তাঁকে থানায় সোপর্দ করব।’
র্যাব সদর দপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ শুক্রবার দুপুরে খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা দেখেছি, তিনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মানহানি এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছেন। এ জাতীয় কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি তাঁর টিভি চ্যানেল এবং জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন সংক্রান্ত কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি, যা আমরা পর্যালোচনা করছি। এরপর বিকেলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পরিবারের দাবি, ‘র্যাব উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযান চালিয়েছে।’ এ ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কী, এমন প্রশ্নে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, ‘উনারা (পরিবার) সংক্ষুব্ধ, অনেক কিছু বলতে পারেন। কিন্তু প্রাণীর চামড়া পাওয়া গেছে ওই বাসায়। এর মধ্যে একটি হরিণের চামড়া এবং একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া। ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশে নেই এবং বিদেশি প্রাণি। আমরা যদি আইন অনুযায়ী যাই, তাহলে কিন্তু বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনেও তাঁর নামে মামলা হতে পারে। ক্যাঙ্গারুর যে চামড়া পাওয়া গেছে, এটার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনেও মামলা হতে পারে। ফলে আমরা আইনানুগ প্রক্রিয়াতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
আইপি টিভি পরিচালনা ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরিচালনা সংক্রান্ত ও নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক ঝামেলা আছে প্রতিষ্ঠানটির। উনার আইপি টিভি পরিচালনার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (বিটিআরসি) কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা যে অভিযান পরিচালনা করেছি, সেখানে আমরা অনেক ধরনের সরঞ্জামদি পেয়েছি। সেগুলো একটি স্যাটেলাইট টিভির সরঞ্জামাদি। সেক্ষেত্রে বিটিআরসির সহযোগিতায় যেসব মালামাল জব্দ করা যায়, তা করেছি। সেখানে কী মামলা করা যায় টেলিযোগাযোগ আইনে, সেটাও প্রক্রিয়াধীন।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় আমরা যে বৈদেশিক মুদ্রা পেয়েছি, সেটার অঙ্ক পর্যালোচনা করছি। এটা মানিলন্ডারিং-এর আওতায় পড়ে কিনা তাও পর্যালোচনা করছি। পর্যালোচনা শেষে যদি মনে হয়, এটা মানিলন্ডারিং-এর আওতায় পড়ে, তাহলে এ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা করা হবে।’
‘আমাদের সারা রাতই অভিযান চালিয়েছি। বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ হয়নি। আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। এরপর তাঁর সম্পদ বা ফ্যাক্টরির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শেষে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে’, যোগ করেন খন্দকার আল মঈন।