হোটেল-রেস্তোঁরায় খাওয়া বন্ধ, তবে ক্রয় করা যাবে
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এ বিধিনিষেধ অনুযায়ী সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সব হোটেল-রেস্তোঁরায় বসে খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে দেশে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
সব শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং সব ধরনের বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ট পর্যান্ত খোলা থাকবে। এসব হোটেল-রেস্তোরাঁ শুধুমাত্র খাবার বিক্রয় করতে পারবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে কেউ খেতে পারবেন না।
সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লোকজন আনা-নেওয়া করবে।
গতকাল শনিবার সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে ‘সীমিত আকারের লকডাউন’ ও ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৮ জুন (সোমবার) থেকে সীমিত লকডাউন থাকবে। অনেক আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের জুন ক্লোজিং আছে। এজন্য ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সারা দেশে টোটাল (সর্বাত্মক) লকডাউন শুরু হবে।’
এদিকে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেন, এবারের লকডাউনে পুলিশ, বিজিবির বাইরে সেনাবাহিনী থাকবে। যদিও আজকের প্রজ্ঞাপনে লকডাউনে মাঠে সেনাবাহিনীর থাকার ব্যাপারে কোনোকিছু উল্লেখ করা হয়নি।