১০ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
নটর ডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের হত্যার বিচারসহ নানা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি পূরণে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ফের সড়কে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ দাবি জানিয়ে গুলিস্তান ও মতিঝিলের সড়ক ছেড়ে যান আন্দোলনকারীরা। দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখায় ওইসব এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে।
গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ১০টি দাবি ঘোষণা করেন। তাঁদের দাবিগুলো হলো :
১. যথাযথ তদন্ত করে শিক্ষার্থী নাঈমকে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া।
২. জেলা শহরের বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু।
৩. স্কুল-কলেজের সামনে হর্ন ও ওভারস্পিডিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের জরিমানা আদায় এবং তা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের অধিকার দেওয়া।
৪. সব শিক্ষার্থীর হাফ পাস নিশ্চিত করা।
৫. প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে একাধিক গতিরোধক নির্মাণ।
৬. শহরের প্রত্যকটি অচল ট্রাফিক লাইটের সংস্করণ এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৭. ট্রাফিক আইনের সঠিক প্রয়োগ।
৮. জেব্রা ক্রসিংয়ের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৯. চলন্ত বাসে যাত্রী ওঠানামা করালে প্রত্যেক বাসকে আইনের আওতায় আনা।
১০. সর্বোপরি নিরাপদ সড়ক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ি নটর ডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈম হাসানকে চাপা দেয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গাড়িচালক রাসেল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল ঘটনার দিন বুধবার দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা এ হত্যার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। আজ বৃহস্পতিবার একে একে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় নেমে এসেছেন শিক্ষাথীরা। এ সময় রাস্তা অবরোধ করে মতিঝিল, গুলিস্তান, ফার্মগেট, উত্তরা, সায়েন্সল্যাব, বেইলি রোড, শান্তিনগরসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে পুরো রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট, বিপাকে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ।