১০ বছরে যক্ষ্মায় মৃত্যু অর্ধেকে নেমেছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত ১০ বছরে যক্ষ্মায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে। আগে দেশে বছরে ৮০ হাজার লোক মারা যেত। এখন বছরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যাচ্ছে। যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এটি এখন টোটালি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যক্ষ্মায় সচেতন থাকলে ও নিয়ম করে ওষুধ সেবন করলে, ৯৭ ভাগ যক্ষ্মা রোগী এখন সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আজ বুধবার কমিউনিটি, রাইটস অ্যান্ড জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যান ফর টিবি শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের এই উন্নয়নের সময়ে এসেও বছরে ৪০ হাজার যক্ষ্মা আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু কোনো ভালো খবর নয়। এর মানে যক্ষ্মায় দিনে ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। করোনায় দিনে ৫০ জন মানুষ মারা গেলে আমরা কত উদ্বিগ্ন থাকি। এখন করোনায় ১-২ জনও মারা যায় না, তবুও আমরা চিন্তায় থাকি। অথচ যক্ষ্মায় দিনে ১০০ জন, ক্যানসার ও হার্ট অ্যাটাকে দিনে প্রায় আড়াইশ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। এটি খুবই অ্যালার্মিং। এই সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি আমাদের সকল মন্ত্রণালয় মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমরা দেশকে পোলিওমুক্ত করেছি। কলেরা, ডায়রিয়া দূর করতে পেরেছি। দেশ টিটেনাসমুক্ত হয়েছে। টিবি নিয়ন্ত্রণেও যথেষ্ট কাজ করছি। আমাদেরকে এখন সংক্রামক রোগের পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। দেশে ক্যানসার, কিডনিতে অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে। এগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, অধিদপ্তরের পরিচালক ও টিবি-ল্যাপ্রোসি অপারেশন প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. খুরশিদ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেলথ সার্ভিস ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন।