১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টন থেকে গণমিছিল বের করবে বিএনপি
১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করবে বিএনপি। আজ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
৭ ডিসেম্বরের পরে আজ সোমবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারা কার্যালয়ের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী নজিরবিহীন বর্বরতা চালিয়েছে বিএনপি অফিসে। ফাইলপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, অর্থ লুটসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের অফিস ভাঙচুর এমনকি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে তারা।’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘৭ ডিসেম্বর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে পুলিশ। যেভাবে হামলা চালিয়েছে তা বিশ্বে নজিরবিহীন। নিন্দা করার ভাষা নাই আমাদের। অফিস থেকে সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এইসব গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য ছিল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ পণ্ড করা। মধ্যমপন্থি গনতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি তাদের কর্মসূচি করেছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘প্রতিটি সমাবেশে বাধা দিয়েছে সরকার। সরকার কোন ভিত্তিতে এই ঘটনা ঘটালো তা আমাদের হিসাবে মেলে না। তাদের হিসাবে এটা খেলা কিন্তু বিএনপি এই খেলায় বিশ্বাস করে না। জনগণ বিক্ষুব্ধ, জনগণ রায় দিয়েছে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব না। জনগণ এই সরকারকে আর চায় না। ৭ ডিসেম্বরের আচরণ প্রমাণ করে এ সরকার গায়ের জোরের সরকার। ১০ দফা দিয়েছি। এই ১০ দফাকে সমর্থন করে যারা যুগপৎ আন্দোলন করবে তারাও কর্মসূচি দিয়েছে। নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকে গণমিছিল করবে বিএনপি।’
ড. খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, ‘গতকাল অফিসে আসতে পেরেছি, কি কি খোয়া গেছে তার তালিকা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেব কি করবো। ১০ ডিসেম্বরে যা প্রত্যাশা করেছিলাম তার থেকে বেশি জনসমাগম হয়েছে। তারপর সরকার যদি এটাকে ব্যর্থ বলে তাহলে কিছু বলার নাই। সরকার দিশেহারা, তারা কোন সময় কি বলবে তা নিয়ে আমরা ভ্রুক্ষেপ করিনা। দেশের জনগণও জানে সরকার যা বলে তা করে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশের লক্ষ্য ছিল বর্তমান সরকারের চরিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা । বিরোধী দল সরকারের একটি অঙ্গ, তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিলে রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না।’
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে তাদের দলের কর্মীরা ডিসেম্বরের ১০ তারিখ ঘিরে এমন কোনো অপকর্ম নাই যে করেনি। আতঙ্কিত হয়েছে সরকার, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন গণতান্ত্রিকভাবে করবো এবং এই সরকারকে বিদায় জানাবো।’