২০০৫ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বোমা হামলা হয়েছিল : ওবায়দুল কাদের
২০০৫ সালে দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় তৎকালীণ ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকারকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই ধরনের হামলা সম্ভব নয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাড়া দেশের ৬৩টি জেলায় ৫০০ স্পটে একযোগে বোমা হামলা চালানো হয়। তখন বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। একযোগে বোমা হামলার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি, নেটওয়ার্ক, জনবল, বোমা সরবরাহ এতো সহজ নয়। এগুলো একদিনে হয়নি। রাষ্ট্রযন্ত্র সেদিন নীরব ছিল কেন? নিশ্চয় সে সরকার ঘটনার প্রশ্রয়দাতা। তা না হলে কিভাবে এই দীর্ঘ প্রস্তুতি জঙ্গিরা বাস্তবায়ন করেছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের মাধ্যমে এদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সূচনা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা সংগঠিত হয়। এ সব হত্যা, সন্ত্রাসের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি।
বিএনপি সরকারের শাসনামলে জঙ্গিদের উত্থান হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ আগস্টের বোমা হামলা ছিল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর শক্তি পরীক্ষা। সিরিজ বোমা হামলার মধ্যে এদেশে প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি কর্মকাণ্ড। বাংলা ভাই.. যাদের হাতে রাজশাহীর একটি অংশ দখলেই ছিল বলা চলে। সেখানে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছিল বাংলা ভাই।
দেশের বিভিন্নস্থানে আদালতে বোমা হামলা প্রসঙ্গ তুলে সেতুমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সারা দেশ প্রকম্পিত করেছিল বোমা হামলায়। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করার জন্য বিএনপি জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
তৎকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তারের খবর প্রচারের উদাহরণ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেসবে কর্ণপাত না করে বিএনপি সরকার জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির কাছে স্বাধীনতা কখনো নিরাপদ ছিল না, এখনও নাই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ন কবির।