২০৪ কোটি টাকা পাচার : ব্যবসায়ী আবু আহাম্মদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
২০৪ কোটি টাকা পাচারের মামলায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু আহাম্মদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবু আহাম্মদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ কোতোয়ালি থানায় মামলা করে সিআইডি। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিএফআইইউ থেকে প্রাপ্ত ব্যাংক হিসাব বিবরণী, কাগজপত্র পর্যালোচনা, লেনদেনের ধরন এবং আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১২ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বর্ণ চোরাচালান, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা ও হুন্ডির মাধ্যমে ২০৪ কোটি টাকার পাচারের অর্থ দিয়ে গাড়ি, বাড়ি, মার্কেটসহ বিভিন্ন সম্পত্তি অর্জন করেছেন।
এই মামলায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান ওই আসামি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পর ২২ ফেব্রুয়ারি আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন দাখিল করেন। চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. ইসমাইল হোসেন নথি তলব পূর্বক ৫ মে জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। কিন্তু চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নথি না আসায় জামিন শুনানি হয়নি।
এরপর ১৩ জুলাই দিন ধার্য রাখা হলেও নথি না আসায় জামিন শুনানি হয়নি। এরপর ধার্য তারিখে নথি না আসায় ৩১ আগস্ট নথি উপস্থাপনপূর্বক ৫ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। এভাবে আরও কয়েকবার শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করেন আসামি। এসব আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ নভেম্বর আসামির সময় আবেদন না মঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।