৩৩৩ ফোন দিয়ে তিন বছরে তিন কোটি মানুষ সেবা পেয়েছে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকারি তথ্যসেবা নম্বর ৩৩৩ ফোন দিয়ে তিন বছরে তিন কোটি মানুষ সেবা পেয়েছে। করোনার সময়ে ৪০ লাখ মানুষ ফোন করে টেলিমেডিসিন সেবা পেয়েছে। এ মুহূর্তে ২০ লাখ মা আছেন যাদের করোনার সময়ে হাসপাতালে আসায় ঝুঁকি আছে। তাই আমরা মা-টেলিমেডিসিন সেন্টার স্থাপন করেছিলাম, যারা ঘরে বসে স্বাস্থা সেবা পাচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে এক আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ মাসে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষ কিভাবে পেল তার সংক্ষিপ্ত একটি উদাহরণ আমি তুলে ধরতে চাই। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী মারা যায়। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আমরা পাচঁটি কনটেটিভ প্লান তথ্য যোগাযোগ বিভাগ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলাম।
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইন্টারনেট, জরুরি পণ্য সরবরাহ এবং বিনোদন সব কিছু যেন মানুষ ঘরে বসে পায় তার জন্য প্রযুক্তি বা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং ২০ মার্চ প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, মাত্র দুই দিনে অনুমোদন দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সমন্বয়ে গত ১৫ মাসে আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম, বিচারিক কার্যক্রম, শিক্ষা কার্যক্রম ও বাণিজিক কার্যক্রম আমরা অনলাইনে সমন্বয় করতে পেরেছি। যদি ডিজিটাল বাংলাদেশে এ অবকাঠামোগুলো জননেত্রী শেখ হাসিনা না করতেন, তাহলে আমাদের যে অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিসহ শিক্ষা কার্যক্রম বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম আমরা চলমান রাখতে পারতাম না।
এ সময় স্পিকারকে ধন্যবাদ দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, সংসদ টিভি দেওয়ার জন্য। যেটি আপনি দিয়েছেন শিক্ষা কার্যক্রমকে পরিচালনা করার জন্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ১৫ মাসে আমাদের ৩৫ লাখ ই-নথি সম্পাদন হয়েছে। আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম, বিচারিক কার্যক্রম, শিক্ষা কার্যক্রম সবকিছুই এখন অনলাইনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ভার্চুয়াল আদালতে ১৫ মাসে প্রায় আড়াই লক্ষ জামিন শুনানি হয়েছে। এ ছাড়া এক লক্ষ জামিন হয়েছে ২২৫টি ভার্চুয়াল আদালতে। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে হাইকোর্টের আপিল ডিভিশন পর্যন্ত আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছি। আমাদের সারা দেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য পাঁচ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছে। প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছেন। আমাদের এ ডিজিটাল সংসদ কার্যক্রম পেপার লেস করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে।