৩৫ লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার সাইলো তৈরিতে কাজ করছে সরকার
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য যেন ধারণ করতে পারে সে লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যার কারণে এরই মধ্যে ৩০টি পেরি সাইলো একনেকের বৈঠকে পাস হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় পাঁচটি সাইলো নির্মাণের টেন্ডার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় চাল আমদানি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চালের চাহিদা না থাকলে চাল আমদানি করা হবে না। চাহিদা থাকলে আমদানি করা হবে। চাহিদার সময় চাল আমদানি করা না হলে চালের দাম একশ টাকা কেজি হত। প্রয়োজন হলে আমদানি হবে। প্রয়োজন না হলে আমদানি হবে না।’
খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হচ্ছে। কৃষকদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।’
মিল মালিকদের উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকরা গুদামে চাল সরবরাহ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবসায়ী ও মিলাররা সৎ না থাকলে দেশের ভাগ্যে পরিবর্তন হবে না।’
আশুগঞ্জে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ, ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল কাজ শেষ করার কথা। তবে করোনার কারণে এবং নানা জটিলতায় কাজের দেরি হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে কি না তা দেখতেই আমরা পরিদর্শনে এসেছি।’
সময় বাড়ার কারণে ব্যয় বাড়বে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আরও ছয় মাস সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, খাদ্যসচিব ড. নাজমানারা খানম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরবিন্দ বিশ্বাসসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।