তিন কারণে সুষ্ঠু ভোট : সিইসি
নানা জল্পনা-কল্পনা আর টানটান উত্তেজনার মধ্যেও কোনো ধরনের গোলযোগ-বিশৃঙ্খলা ছাড়াই নারায়ণগঞ্জে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের পেছনে তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের ভোটের মাঠ চষে, প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে, কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে ঢাকায় ফিরে বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তিনটি কারণের কথা জানান।
এবার সুষ্ঠু নির্বাচন করা গেলেও এর আগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেন গোলযোগহীন ভোট করা গেল না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘প্রতিবারই নির্বাচনের এই ব্যবস্থা আমরা করেছিলাম। মূলত জায়গায়টা ছোট ছিল। সহজে সবাই সবখানে যেতে পারছে। প্রচুর পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করেছিলাম। প্রার্থীরাও সহযোগিতা করেছে।’
এরপর সিইসি আরো যোগ করেন, ‘মূলত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা যদি সহযোগিতা করে তাহলেই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়। বিদেশে কিন্তু এত পুলিশ লাগে না। আমাদের দেশেও এখন দেখা যাচ্ছে যদি রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা সবাই যদি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান এবং কেউ যদি শান্তি ভঙ্গ না করেন- তাহলে অশান্তি হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ এবং তার পরবর্তী বাকি সময়টুকুও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এখন চলছে গণনার কাজ। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
যাঁদের নির্বাচিত করার জন্য এই নির্বাচন আর ভোটারদের সরব উপস্থিতি, সেই প্রার্থীদের মধ্যে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সকাল ১০টার মধ্যেই নিজ নিজ কেন্দ্রে দিয়েছেন ভোট। নির্বাচনে সাত প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী।