ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে এমপি লিটনের মরদেহ
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে।
আজ রোববার একটি হেলিকপ্টারে করে আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্যের মরদেহ ঢাকায় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টায় রংপুর পুলিশ লাইনস মাঠে এমপি লিটনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেলে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার আবদুল হক কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তিন মোটরসাইকেল আরোহী আকস্মিকভাবে বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ায় এমপি লিটনের নিজ বাড়িতে ঢুকে তাদের পিস্তল থেকে লিটনকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে পরিবার ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে এমপি লিটনের মৃত্যু হয়।
২০১৫ সালের ২ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্ধ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় এক শিশুকে গুলি করে সারা দেশে সমালোচনার মুখে পড়েন এমপি লিটন। তিনি তাঁর লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সৌরভকে গুলি করেন।
এ ঘটনায় সৌরভের বাবা বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া এমপি লিটনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ৬ অক্টোবর আরেকটি মামলা করেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর শাহাবাজ গ্রামের হাফিজার রহমান।
ওই ঘটনায় মামলার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন এমপি লিটন। পরে ওই বছরই আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান। পরে জামিনে মুক্তি পান।