সিরাজদিখানে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪)। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেগম শাহিনা পারভীন আজ শুক্রবার দুপুরে ওই বিয়ে বন্ধ করেন।
মেয়েটির বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদি ইউনিয়নে। উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালপদিয়া গ্রামের মাসুদ রানার (৩০) সাথে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমি মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম না কারণ আমার আরেক মেয়ে নাবালিকা থাকতে ২০১১ সালে বিয়ে দিয়ে এখন খেসারত দিচ্ছি। ওর (স্কুলছাত্রী) মা লেবানন থাকে। নানা, নানি ও খালারা মিলে নানার বাড়ি নিয়ে বিয়ে দিচ্ছিল। ম্যাজিস্ট্রেট এসে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় আমি সন্তুষ্ট।’
বয়রাগাদি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘বাল্যবিবাহ বন্ধে আমরা এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মাঝে আমাদের অজান্তে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। ম্যাজিস্ট্রেট মেয়ের নানাসহ অন্যদের আটক করে জেলে পাঠাতে চেয়েছিলেন। আমি অনেক অনুরোধ করে অঙ্গীকারনামায় সই করে তাঁদের ছাড়িয়ে রেখেছি।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শাহিনা পারভীন বলেন, ‘বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মেয়ের বয়স ১৪ হওয়ায় বিয়ে বন্ধ নিশ্চিত করি। মেয়ের বাবা, নানা, নানি ও খালার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেই। ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দেবে না এ জন্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’