আইনের জন্য রাষ্ট্রপতির অপেক্ষায় সরকার
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আইন করার প্রস্তুতি আছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা পেলেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ ছাড়া পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সরিয়ে নিতে সুপ্রিম কোর্ট যতবার চিঠি দেবে, ততবারই তা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে এ পর্যন্ত অংশ নেওয়া ১১টি রাজনৈতিক দলের বেশির ভাগেরই প্রস্তাব ছিল, সংবিধান মেনে কমিশন পুনর্গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন করার। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আইনটি তৈরি করার প্রস্তুতি আছে কি না সাংবাদিকরা আজ জানতে চান আইনমন্ত্রীর কাছে।
উত্তরে আনিসুল হক বলেন, ‘যদি আইন প্রণয়ন করতে হয় তাহলে রাষ্ট্রপতিই বলবেন আইন প্রণয়ন করার জন্য। রাষ্ট্রপতির নির্দেশের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। রাষ্ট্রপতি আমাদের কিছু করার জন্য নির্দেশনা দেবেন, আমরা নিশ্চয়ই সেই কাজটা ত্বরিত গতিতে করার ক্ষমতা রাখি।’
পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে সুপ্রিম কোর্ট আর সরকারের মধ্যে টানাপড়েন চলছে কয়েক মাস ধরে। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে দুবার সুপ্রিম কোর্ট চিঠি দিলে দুবারই মন্ত্রণালয় সেই চিঠি পুনর্বিবেচনার জন্য পাল্টা চিঠি দেয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য যে আদেশ সুপ্রিম কোর্ট আমাকে দিয়েছেন, সেই আদেশের ব্যাপারে আমি যতবারই আদেশ পাই, ততবারই আমি পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি পাঠাব।’
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগে বিচারক সংকট নিয়েও কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগে বিচারপতির সংকট দেখা দিলেই বিচারপতি নিয়োগ করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাব। অভিজ্ঞ বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে একটা আইন ইনশাল্লাহ এই বছরের মধ্যেই করে ফেলব।
এর আগে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ বিচারক ও সমমানের বিচারিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।