জ্বালানি তেলের দাম আপাতত কমছে না
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম আপাতত কমছে না। এর পেছনে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার এনটিভিকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন ‘তেলের দাম আপাতত কমছে না। কারণ ওয়ার্ল্ড মার্কেটে (বিশ্ব বাজারে) তেলের দাম বেড়ে গেছে অনেকখানি। ৩২ ডলার ছিল। ৫২ ডলার হয়ে গেছে। অনেকখানি জাম্প (বেড়ে) করছে। বিশ্বব্যাংক বলছে এ বছরে আরো দাম বাড়বে।’
তেলের দাম না কমানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘তেলের দাম কমিয়ে দিয়েছে ফার্নেস অয়েল। আর অন্যগুলো একটুখানি কমিয়েছে। আমরা বলেছি আর একটু বেশি কমালে, ইট ইজ গুড ফর দ্য ইকোনোমি (এটা অর্থনীতির জন্য ভালো)।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুক্তি দেখিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘যখন মাননীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন যে তেলের দাম ডিসেম্বর বা জানুয়ারির দিকে কমানো হবে, তখন তেলের দাম ছিল ৪৮ ডলার। এখন হয়তো কয়েক ডলার মাত্র বেড়েছে এবং এটা কিন্তু আসলে কোনো যুক্তি না। তেলের দাম ওঠা-নামা করে। বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম এত কমে গেল, সে অর্থে একটা সুযোগ নেওয়া উচিত ছিল। এখন যে আমাদের গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) হওয়ার কথা। ইন ফ্যাক্ট (আসলে) আমরা সেভেন থেকে এইট পারসেন্টে যাব আগামী অর্থবছরে। তো সেটাকে মাথায় রেখে আমাদের তেলের দাম কমানো উচিত।’
২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি যখন দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ১২০ ডলার। কিন্তু ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারেই তেলের দাম কমতে শুরু করে। জুনের পর তা কমতে কমতে নেমে আসে ব্যারেলপ্রতি ৩০ ডলারে।
কিন্তু তখন দেশের বাজারে তেলের দাম কমায়নি সরকার। অনেক সমালোচনার পর ২০১৬ সালে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়। তখন ঘোষণা দেওয়া হয় আরো দুই দফায় তেলের দাম কমাবে সরকার।