‘সার্বক্ষণিক’ পর্যবেক্ষণে তৃণমূলের আ. লীগ নেতারা
আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্বে আসা কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যাবেন এবং তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনবেন।
এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন ও সারা দেশে জেলা প্রশাসন নির্বাচন হওয়ায় পূর্বনির্ধারিত সময়ের এক মাস পর মাঠে নামছেন নেতারা। তবে সেটা কোনো প্রকার ঘোষণা দিয়ে নয়। যেখানেই সংকট, সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি পড়ছে বলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষ্য।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, 'কোনো নির্ধারিত দিন-তারিখ ঠিক করে নয়, আমরা প্রতিনিয়ত সাংগঠনিক সফর করছি। তৃণমূলে কোনো দলীয় বিভাজন আছে কি না, দলের কোনো নেতা জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছেন কি না, জনগণের প্রতি কোনো প্রকার অবিচার-অত্যাচার করছে কি না এগুলো খেয়াল রাখছি। কারণ, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। জনবিচ্ছিন্ন কিংবা জনহিতকর কাজ করবে এমন কর্মীকে দলে রাখব না। আমরা জনগণের সর্বোচ্চ ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই।'
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এই মাস নানাবিধ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামী মাস থেকে পুরোদমে তৃণমূলে যাবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
তবে তৃণমূল থেকে আমরা কখনো বিচ্ছিন্ন ছিলাম না। জনপ্রিয় নেতারা যেন আড়ালে না থাকেন, সেদিকটা লক্ষ রেখেই আমাদের এবারের যাত্রা।’
আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, 'গত কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে; সে ক্ষেত্রে কোথাও কোনো বিবাদ আছে কি না, সেদিকে নজর দিতে। আমরা সে বিবেচনায় কাজ করছি।'
সামনের নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই এখন থেকেই নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে। এখন থেকেই নির্বাচনী মেনিফেস্টো (ইশতেহার) ঠিক করতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাই সে লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানান এই তিন নেতা।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে হানিফ বলেন, ‘গত নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। এবারও তা-ই করব। কারণ, আমরা চাই একটি আধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ উন্নত বাংলাদেশ। আর এ কাজে দলের কোনো নেতার পূর্ণ মনোযোগ না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’