‘আসামিদের তাড়াতাড়ি ফাঁসি দেউক’
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল দেখা গেছে। আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে না পারলেও বাইরে দেখা গেছে শতাধিক উৎসুক মানুষের ভিড়। ভেতরে কী হচ্ছে, তা জানতে যথেষ্ট উদগ্রীব ছিলেন তাঁরা।
আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন সাত খুনের দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি নয়জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে উঁকিঝুঁকি মারছিলেন মোহাম্মদ রাসেল। এনটিভি অনলাইনকে তিনি জানালেন, কাঁচপুর এলাকা থেকে রায় শুনতে আদালতে এসেছেন তিনি। রায় জানার পর খুশি বলেও জানান রাসেল। আসামিদের দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হলে সবাই খুশি হবে বলেও মন্তব্য করলেন।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকা থেকে এসেছেন মোহাম্মদ হাফসা। রায়ে খুশি তিনিও। বললেন, ‘আসামিদের তাড়াতাড়ি ফাঁসি দেউক। তাইলে আরো ভালো হইব।’
রাসেল ও হাফসার মতো শত শত মানুষ সকাল থেকে ভিড় করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে। আদালতের ভেতরের খবর জানতে প্রত্যেকেই ছিলেন উদগ্রীব। গণমাধ্যমকর্মী বা আইনজীবীদের কাউকে দেখলেই রায়ের বিষয়ে জানতে চাইছিলেন তাঁরা। রায় জানার পর নিজেদের মধ্যে আনন্দ ও সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। এসব উৎসুক জনতার বেশিরভাগই দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
রায়কে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশ এবং বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন ছিলেন গোটা এলাকায়। আদালতের আশপাশ এবং প্রধান সড়কসহ সব স্থানে টহল দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় জলকামানসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়।
আদালত এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ ও চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শুধু গণমাধ্যমকর্মী, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনজীবীদের আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার আগে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহরেই বেশ নীরবতা বিরাজ করতে দেখা যায়।