কে কোন বাহিনীর, তা বিবেচ্য বিষয় ছিল না : আইনমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের দুই মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, অপরাধের ভিন্নতা ও নৃশংসতার জন্য এই সাজা প্রাপ্য ছিল।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের সঙ্গে আমিও খুশি। আদালত স্বাধীনভাবে এ রায় দিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আসামিদের কে কোন পদ বা বাহিনীর, তা বিবেচ্য বিষয় ছিল না। অপরাধের ভিন্নতা এখানে বিবেচ্য বিষয় ছিল না।’
আনিসুল হক আরো বলেন, ‘বিচারহীনতা সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। এটাই বড় বিষয়। অপরাধের ভিন্নতা ও নৃশংসতার জন্য এই সাজা প্রাপ্য ছিল।’
সকাল সোয়া ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১-এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, চাকরিচ্যুত কমান্ডার এম এম রানা, চাকরিচ্যুত মেজর আরিফসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাত খুনের দুটি মামলার অন্য আসামিরা হলেন—র্যাব সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) পুর্ণেন্দু বালা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিপাহি আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন—নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম ও শাহজাহান, সানাউল্লাহ সানা, জামাল উদ্দিন, র্যাবের করপোরাল লতিফুর রহমান, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সি, আল আমিন শরিফ, আব্দুল আলী, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।