বাংলাদেশে তেল শোধনাগার সম্প্রসারণ করা হবে
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের শোধনাগার সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
স্বাক্ষরিত চুক্তি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের আমদানীকৃত জ্বালানি তেলের অধিকাংশই পরিশোধনকৃত। কিন্তু বাংলাদেশে নতুন একটি রিফাইনারি (শোধনাগার) স্থাপন করা হবে। এর জন্য ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান টেকনিপের সঙ্গে কারিগরি সহায়তাবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে টেকনিপের এই চুক্তি হয়েছে আজ। এই শোধনাগার স্থাপিত হলে বাংলাদেশ এখন থেকে অপরিশোধিত তেল এনে শোধন করে সরবরাহ করবে। এতে প্রতিবছর দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’
এদিকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির লিমিটেডের (ইআরএল) প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ১৫ লাখ টন। ওই পরিশোধনাগারের ক্ষমতা আরো ৩০ লাখ টন বাড়ানোর জন্য ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বাজারে আপাতত জ্বালানি তেলের দাম কমছে না।
‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় আমরাও তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দুবারই প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়েছে’, বলেন বিপু।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার পরও বাংলাদেশে দাম না কমানোর কারণ প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে গত বছর জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। কিন্তু এ বছর বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত পেয়েছি। এ কারণে তেলের দাম না কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’