সিলেটে কলেজছাত্রীকে জখম, বাহারের স্বীকারোক্তি
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কলেজছাত্রী ঝুমা আক্তারকে (১৯) কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি বাহার উদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জকিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. খাইরুল আমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন বাহার। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইমরোজ তারেক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের মির্জারচক গ্রামের একটি হাওর থেকে বাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ করে বাহারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত রোববার ছোট ভাইকে ভর্তি করার জন্য মাকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে যাচ্ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কলেজছাত্রী ঝুমা আক্তার। পথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান রসুলপুর গ্রামের বাহার উদ্দিন। ঝুমার পেট ও হাতে কোপ দেন বাহার।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঝুমাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঝুমার অভিযোগ, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁর ওপর হামলা করেন বাহার।
এ ঘটনায় গত সোমবার বাহারকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন ঝুমার মা করিমা বেগম। পরে পুলিশ প্রধান আসামি বাহারের বড় ভাই নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।