পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে আরাফাত সানির?
জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে বিয়ের একটি কাবিননামা আদালতে দাখিল করেছেন মামলার বাদী নাসরিন সুলতানা। এতে তিনি দাবি করেছেন, পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুইয়ের আদালতে নাসরিন সুলতানার আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জুয়েল এ কাবিননামা দাখিল করেন। তবে এর সত্যতার ব্যাপারে আরাফাত সানির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যে কাবিননামাটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে তাতে দেখা যায়, পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহরে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর আরাফাত সানির সঙ্গে নাসরিনের বিয়ে হয়। বিয়ে পড়ানোর স্থান দেখানো হয়- মেরাদিয়া, থানা- খিলগাঁও, জেলা- ঢাকা।
এ ছাড়া বিয়ের সময় আরাফাত সানির বয়স দেখানো হয়েছে ২৮ বছর আর কনের বয়স দেখানো হয় ২১ বছর। এ ছাড়া বিয়েতে কন্যা নাসরিন সুলতানাকে কুমারী দেখানো হয়েছে। বিয়ের কাজী ছিলেন মো. দেলোয়ার হোসেন।
ওই কাবিননামায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিয়েতে কনের উকিল বাবা ছিলেন আমিন বাজারের চানপুর এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. মঞ্জুর হোসেন। তাঁর সাক্ষী ছিলেন দুজন। একজন হলেন, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ৩২ সাউথ বানিপাড়া এলাকার শফিক উদ্দিনের ছেলে সোহরাব হাফিজ। অন্যজন তেজগাঁওয়ের ৩৯/১ সাউথ কুনিপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সাহিদ হাসান।
বিয়ের শর্তাদির মধ্যে রয়েছে- সময়োপযোগী ভদ্রোচিতভাবে আরাফাত সানিকে মাসিক খোরপোশ দিতে হবে।
এ ছাড়া স্বামী-স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতাও অর্পণ করেছেন। শর্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে, স্বামী নিরুদ্দেশ, পুরুষত্বহীন, চরিত্রহীন কিংবা বনিবনা না হইলে বিবি যখন ইচ্ছে করবে নিজ নসফের প্রতি বায়েন তালাক গ্রহণ করতে পারবেন বলেও আদালতে দাখিল করা কাবিননামায় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বিয়ের সময় দুজন সাক্ষীর নামও দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন ৩২ সাউথ কুনিপাড়ার রূপা ইসলাম এবং আমিনবাজারের সরদারবাড়ির আনোয়ারুল হক শরীফ।
নাসরিন সুলতানার করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আজ সকালে ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার এনটিভি অনলাইনকে জানান, ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা নামের এক তরুণী সানির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর দাবি, সানির সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক আছে। তাঁদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি সানি ফেসবুকসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।