সেই তরুণী যা বললেন
‘আমি আরাফাত সানির বিবাহিত স্ত্রী। অথচ আমার সম্মানটুকু আমি তাঁর কাছ থেকে কখনো পাইনি। ওদের বাসায় গিয়েছি। বিনিময়ে ওরা আমাকে মারধর করেছে। আমার সামাজিক যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’
এনটিভি অনলাইনকে এভাবেই বললেন সেই তরুণী, যাঁর করা মামলায় আজ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত তাঁর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন ওই তরুণী।
একটি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষাথী বলে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণী বলেন, ‘সানির মা আজ আমাকে নিয়ে যা বলেছে তা সত্য নয়। কোনো মেয়েই চায় না তার সম্মান এভাবে নষ্ট হোক। উনার ছেলের জীবন উনি বাঁচাতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে নানাভাবে।’
তরুণী দাবি করেন, আজও মোহাম্মদপুর থানায় সানির মা নার্গিস আক্তার ‘হামলা করেন’। এতে ‘স্লাইটলি ইনজিউরড (কিঞ্চিৎ আহত)’ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিনা তদন্তে মামলা নেয় না। পুলিশ কর্মকর্তারা আমার মোবাইল ফোন জব্দ করেছেন। কিছু পেয়েছেন বলেই মামলাটি গ্রহণ করেছেন।’
‘আমার ছবি আমাকে পাঠিয়ে নানাভাবে হুমকি দিত সানি। আমি যখনই বলতাম বউ করে ঘরে উঠানোর জন্য তখনই সানি বিভিন্ন তালবাহানা করত। আর এরই অংশ হিসেবে ও ছবিগুলো নিয়ে এমন করত,’ দাবি তরুণীর।
তিনি আরো দাবি করেন, ২০০৯ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে আরাফাত সানির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তখন নাসরিন এইচএসসির শিক্ষার্থী ছিলেন। সানি তখন ধানমণ্ডিতে ক্রিকেটের অনুশীলন করতেন। সেই থেকে কথা ও পরে প্রেম। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে আমাদের বিয়ে হয়। এর কিছু দিন পর বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়। আমাকে বলল, বিশ্বকাপ থেকে এসে আমাকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা বলে। ওই উঠিয়ে নেওয়া আর হয় না।’
‘এরপর গত বছর সানির ক্যারিয়ারে কিছু ঝামেলা হয়, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। সেটাকেও বাহানা বানিয়ে বলেছে, ঝামেলা শেষ হোক পরে দেখা যাবে। বিয়ের পর আমি ওদের বাসায় যাই। ওরা তো আমাকে গ্রহণ করেইনি বরং মারধর করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সামাজিকভাবে সানি আমাকে স্ত্রী হিসেবে মূল্যায়ন করেনি।’
এই তরুণী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজে ইংরেজি বিষয়ে পড়ছেন। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় আমাকে অংশ নিতে দেয়নি সানি।’
সানি প্রায়ই তাঁর সামাজিক মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন জানিয়ে তরুণী বলেন, ‘উই ডুন্ট বিলং টু রিচ ফ্যামিলি (আমরা ধনী পরিবারের নই) -এটা সে প্রায়ই বলত। আমাকে হয়তো সানি কেবল ব্যবহারই করতে চেয়েছে।’
নাসরিন বলেন, ‘এখন আমার স্বজনরাও আমার কাছে নেই। যারা বিয়েতে সাক্ষ্য হয়েছিল তারাও এখন পিছু হটেছে। মামলা দিয়েছি। জানি না কতদিন কী হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ওর পরিচয়টা তুলে ধরা দরকার।’