রিট খারিজ, স্বপদেই থাকছেন অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এতে তিনি স্বপদেই বহাল থাকছেন।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে খারিজ করেছেন আদালত। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি শুনানি শেষে ২৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়।
আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
গত বছরের ১০ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল পদে মাহবুবে আলমের থাকার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন।
রিটে বলা হয়, সংবিধানের ৬৪(১)/৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়সের পরে এই পদে থাকার নিয়ম নেই। ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাহবুবে আলমের বয়স ৬৭ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট বয়স শেষ হওয়ার পরও তিনি ওই পদে বহাল রয়েছেন।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, নিয়ম অনুযায়ী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে প্রায় আট বছর টানা এই পদে বহাল আছেন মাহবুবে আলম। বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও মাহবুবে আলম কোন কর্তৃত্ববলে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বহাল রয়েছেন, তার নির্দেশনা জানতে চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে বলা হয়, “অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ বিষয়ে সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হবেন।’”
সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘অন্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক ৬৭ বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।’
রিটে আরো বলা হয়, লিগ্যাল রিমেমব্রান্সার ম্যানুয়াল-১৯৬০ অনুযায়ী অ্যাটর্নিদের পদ দুই বছরের জন্য। কিন্তু দুই বছর আগেও তিন মাসের নোটিশ দিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁকে অপসারণ করতে পারেন। কিন্তু ওই আইন লঙ্ঘন করে প্রায় আট বছর অবিরামভাবে ওই পদে বহাল আছেন তিনি।