সানির জামিন শুনানিতে আদালতে আইনজীবীদের হট্টগোল
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন শুনানির সময় আজ মঙ্গলবার দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল বেধে যায়।
সানির পক্ষের একাধিক আইনজীবী সানিকে জামিন দেওয়ার জন্য বিচারককে অনুরোধ করেন। তাঁরা বলেন, স্যার, সানিকে জামিন দেন। তিনি জাতীয় সম্পদ, এই বিয়ে ভুয়া। কাবিননামা তদন্তে পাঠানো হোক।
অপরদিকে মামলার বাদী সানির কথিত স্ত্রীর পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, আপনাদের জামিন শুনানির সময় আমরা কোনো কথা বলিনি, আপনারা এত চেচামেচি কেন করছেন?
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে সবার উদ্দেশে বলেন, আপনারা ভালো করেই জানেন এ মামলায় আমার জামিন দেওয়ার এখতিয়ার কতটুকু? জামিন দেওয়ার এখতিয়ার থাকলে তখন বিষয়টা হতো ভিন্ন কিছু।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু শুনানির সময় এ কথা বলেন। তিনি আরাফাত সানির জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে একদিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুরে আরাফাত সানিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াহহিয়া আহমেদ।
তদন্ত কর্মকর্তা সানিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। তিনি বলেন, সানির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্তের স্বার্থে কারাগারে পাঠানো হোক।
ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সানির আইনজীবী জুয়েল আহমেদ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় তাঁর জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানান। একই সঙ্গে সানিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই ক্রিকেটার সানিকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার এনটিভি অনলাইনকে জানান, ৫ জানুয়ারি এক তরুণী আরাফাত সানির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাঁর দাবি, সানির সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক আছে। তাঁদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি সানি ফেসবুকসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।
রোববার সকালে ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জামাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, মেয়েবন্ধুর করা মামলায় আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।