হরতালে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বাগেরহাটে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা আধা বেলা হরতাল চালাকালে দুই গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিন সদস্যের এ কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে, এনটিভি অনলাইনকে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রাজধানীর শাহবাগে পুলিশ হরতালকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এ সময় লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। হরতালের এই দৃশ্য ও সংবাদ সংগ্রহ করতে যান বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের দুই সংবাদকর্মী। তখনই তাঁরা পুলিশের হামলার শিকার হন।
আহত সংবাদকর্মীরা হলেন, এটিএন নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক এহসান বিন দিদার ও ক্যামেরাম্যান আবদুল আলীম। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, হামলায় ক্যামেরাম্যান আবদুল আলিমের চোখের ওপরের অংশ কেটে গেছে। রিপোর্টারের হাত এবং পায়ে আঘাত লেগেছে।
ঘটনার পর পরই শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছিলেন, ‘ঘটনাস্থলের পাশে একটি ভিডিও ক্যামেরা আছে। সেই ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি সত্যি পুলিশের কেউ জড়িত থাকে তবে তাদের অবশ্যই বিচার করা হবে।’
সন্ধ্যায় পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
‘কমিটির সদস্যরা হলেন রমনা বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) নাবিদ কামাল শৈবাল, এডিসি আজিমুল হক ও এসি ইহসানুল হক। দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে দিতে বলা হয়েছে’, যোগ করেন মারুফ হোসেন সরদার।
হামলায় আহত সাংবাদিক এহসান বিন দিদার জানান, অর্ধদিবস হরতালের সংবাদ কাভার করার জন্য তাঁরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় শাহবাগ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ মণ্ডলের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য তাঁদের ওপর হামলা চালান। কী কারণে হামলা, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি।