সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এএসআই বরখাস্ত
বাগেরহাটে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা আধা বেলা হরতাল চালাকালে দুই গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ মণ্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
দুপুরে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশ হরতালকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে। এ সময় লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। হরতালের এই দৃশ্য ও সংবাদ সংগ্রহ করতে যান বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের দুই সংবাদকর্মী। তখনই তাঁরা পুলিশের হামলার শিকার হন।
আহত সংবাদকর্মীরা হলেন এটিএন নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক এহসান বিন দিদার ও ক্যামেরাম্যান আবদুল আলীম। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, হামলায় ক্যামেরাম্যান আবদুল আলিমের চোখের ওপরের অংশ কেটে গেছে। রিপোর্টারের হাত এবং পায়ে আঘাত লেগেছে।
এ ঘটনার ছবি ও সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন রমনা বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) নাবিদ কামাল শৈবাল, এডিসি আজিমুল হক ও এসি ইহসানুল হক। দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার পর পরই শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছিলেন, ‘ঘটনাস্থলের পাশে একটি ভিডিও ক্যামেরা আছে। সেই ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি সত্যি পুলিশের কেউ জড়িত থাকে তবে তাদের অবশ্যই বিচার করা হবে।’
হামলায় আহত সাংবাদিক এহসান বিন দিদার জানান, অর্ধদিবস হরতালের সংবাদ কাভার করার জন্য তাঁরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় শাহবাগ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ মণ্ডলের নেতৃত্বে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য তাঁদের ওপর হামলা চালান। কী কারণে হামলা, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি।