উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনান কমিশন
দ্বিতীয় দিনের সফরে কফি আনান কমিশনের সদস্যরা আজ সোমবার কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলায় কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন।
সকালে শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দুপুরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার বালুখালী ক্যাম্প ঘুরে দেখেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এ সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৪০ জন নারী, ১৮ জন শিশু ও ১২ জন পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছ থেকে সে দেশে নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন তাঁরা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, কফি আনান কমিশনের সদস্য মিয়ানমারের নাগরিক উইন ম্রা, আই লুইন এবং লেবাননের নাগরিক ঘাসান সালামেসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচসিআর) ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা সকাল ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। বেলা ২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ সভায় মিলিত হবেন তাঁরা। ওই সভায় স্থানীয় প্রশাসন, জাতিসংঘ ও অন্যান্য বিদেশি সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবে এই আনান কমিশন।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা হয়। এতে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের ১২ সদস্য নিহত হন। এই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের নির্যাতনে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার কফি আনান কমিশনের তিন সদস্য ঢাকায় পৌঁছান।
আর আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাসহ সব মানুষের কল্যাণের জন্য জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের এই কমিশনটি গঠিত হয় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে।