মোদির জন্য পুলিশ-র্যাব, সঙ্গে ভারতের ব্ল্যাক ক্যাট
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। তাঁর ঢাকা সফর নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে গোটা রাজধানীকে। হকারমুক্ত করা হয়েছে ফুটপাত, পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ৩৩ ঘণ্টার এ সফরকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
urgentPhoto
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) মীর রেজাউল আলম বলেন, ‘ভিভিআইপি মুভমেন্টকে স্মুথ করতে হলে যে ডাইভারশন নেওয়া দরকার, সে ডাইভারশন নেওয়া হবে। ট্রাফিক স্ট্র্যাটেজির কিছু কিছু জায়গা হয়তো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সেটিও করা হবে। মূলত একটা সফরকে কেন্দ্র করে রুট প্রটেকশন, ভেন্যু প্রটেকশন এগুলোই আমাদের দায়িত্ব।’
এ ছাড়া মোদির সফরকে ঘিরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নিরাপত্তা কার্যক্রম নিয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘প্রতিটি ভেন্যুতেই আমাদের যে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আছে এবং ডগ স্কোয়াড আছে, এটার সুইপিং হবে। এ ছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।’
সে সঙ্গে মোদির ঢাকা সফরের নিরাপত্তার খুঁটিনাটি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছেন ভারতীয় স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) এবং কমান্ডো ফোর্স ব্ল্যাক ক্যাটের সদস্যরা। এরই মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রটোকলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অগ্রবর্তী টিম ঢাকায় পৌঁছেছে। এ টিমের সদস্যরা ভিআইপির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা ও প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মোদির সম্মানে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এখন ছেয়ে গেছে তাঁর ছবিতে। আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি ফুটপাতও করা হয়েছে অবৈধ দখলদারমুক্ত।
৩৩ ঘণ্টার এ সফরে মোদি সাভার স্মৃতিসৌধ, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন, ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশন ও ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বারিধারায় ভারতীয় দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধনেরও কথা রয়েছে তাঁর।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এ সফরে বিশেষ নৈশভোজ, চুক্তি-স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। আর এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।