সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে মহৎ প্রাণের মানুষ হিসেবে জানি : ফখরুল
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুলসহ সর্বস্তরের মানুষ।
প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সম্পর্কে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি একজন বিশিষ্ট, অভিজ্ঞ, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা এবং একজন বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দীর্ঘকালের। আমি তাঁকে একজন অত্যন্ত মহৎ প্রাণের মানুষ হিসেবেই জানি। তাঁর চলে এই যাওয়া এদেশের রাজনীতিতে, পার্লামেন্টের রাজনীতির ইতিহাসে একটা অনেক বড় শূন্যতা তৈরি করবে। বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে, এবং বিভিন্ন সময়ে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করার চেষ্টা করেছে। আমি তাঁর এই চলে যাওয়াতে অত্যন্ত মর্মাহত, শোকাভিভূত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আমাদের শোক প্রকাশ করছি। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
আজ ভোর ৪টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যান। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি।
সুনামগঞ্জের এ সংসদ সদস্যকে গতকাল রাত থেকে হাসপাতালেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার ফুসফুসের সমস্যার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে প্রথমে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনে নেওয়া হবে।
এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টায় মরদেহ যাবে সিলেটে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বেলা ১১টায় মরদেহ যাবে সুনামগঞ্জ।
এর পর সেখান থেকে মরদেহ তাঁর নির্বাচিত এলাকা দিরাই ও শাল্লায় নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী দিরাইয়ে সমাহিত করা হবে।