সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিক শেষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের ভক্ত-শুভানুধ্যায়ী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রথমেই ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, ছবি বিশ্বাস, দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্গজ দেবনাথ, অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা মাহমুদুর রহমান বাবু, ন্যাপের নেতা ইসমাইল হোসেন, গণ আজাদী লীগের এস কে শিকদার, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনসহ সব শ্রেণির মানুষ।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজসহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরের লোকজন।
এ ছাড়া খ্রিস্টান মিশনারিজ, উদীচী, আদিবাসী ফোরাম, মহিলা পরিষদ, ঢাকা ক্লাব, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, পূজা উদযাপন কমিটি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এর আগে সকাল ৯টায় জিগাতলায় মরদেহ তাঁর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরিবার, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের শেষবারে মতো দেখার জন্য দেড় ঘণ্টা রাখা হয়। সেখানে থেকে পৌনে ১২টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আনা হয়। আগামীকাল সোমবার সিলেট, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাল্লায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আব্দুস সামাদ আজাদের প্রয়াণের পর তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্ব বৃহত্তরে সিলেটে ছিল না। আজও নেই। তিনি (সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত) চলে যাওয়ায় সিলেট তো বটেই সমগ্র রাজনৈতিক অঙ্গনেও শূন্যতা তৈরি হয়েছেন।’ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই সুরঞ্জিত সেনের বিষয়ে নিজের মূল্যায়নের কথা বলেন তিনি।
আমু বলেন, ‘আইনের বিষয়ে কোনো জটিলতা তৈরি হলে সবাই তাঁর কাছে যেত। এমনকি স্পিকার নিজেও তাঁর কাছে আইনি সহায়তা চাইতেন। তিনি চলে যাওয়ায় তাঁর মতো আস্থা ভাজন একজন লোক পেতে হয়তো আমাদের অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। এরপর নিজ যোগ্যতায় সাত বার সংসদ সদস্য হয়েছেন। সংসদ, আইন এবং সংবিধান বিষয়ে অগাধ ধারণা রাখতেন। এমন বিরল প্রায় রাজনীতিকের চলে যাওয়া বড় শূন্যতা।
সিপিবি নেতা হায়দার আকবর রনো বলেন, তিনি খুবই প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। যা জানতেন তা বলতেন এবং মনে প্রাণে তা বিশ্বাস করতেন।