আ. লীগ-বিএনপির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সিইসির সম্পৃক্ততা আছে : নোমান
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সম্পৃক্ততা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
আজ বুধবার রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে নোমান এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতেই প্রশ্নবিদ্ধ লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার।
নোমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নুরুল হুদার কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততা আছে। সেই সম্পৃক্ততা যদি থেকে থাকে এবং সেটা যদি রাজনৈতিক অথবা অন্য কোনো অফেন্স হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু এখানে প্রশ্ন আমরা কি আরো ভালো এবং সবার গ্রহণযোগ্য একটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার করতে পারতাম না? কিন্তু সেটা করা হয়নি। না হওয়ার কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকা, ক্ষমতা না ছাড়া বর্তমান সরকারের।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সিইসি নুরুল হুদা বিতর্কিত ব্যক্তি। তাঁর অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মামলা দিয়ে প্রধান বিরোধী দলকে আদালতে রেখে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।
বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘যাঁর নাম কোনো রাজনৈতিক দল, এমনকি আওয়ামী লীগও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে দেয় নাই, তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করেছে। এখনো সুযোগ আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের শপথের আগেই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমি অনুরোধ করব- বিবেচনার কোনো সুযোগ থাকলে সেটা গুরুত্বসহকারে আপনি বিবেচনা করবেন।’
অন্যদিকে, টাঙ্গাইলে শহীদ মির্জা আবু রায়হান জগলুর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী অভিযোগ করেন, সার্চ কমিটির সুপারিশ না মেনে দলীয় আর অনুগত লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার।
গত সোমবার সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, রাজশাহীর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।