ত্বকী হত্যার বিচার দাবির কর্মসূচিতে হামলা
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলসহ তিনজন আহত হন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বেলা ৩টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে প্রথমে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। সন্ধ্যার পর নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট একই দাবিতে একই স্থানে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচি শেষ করে সাংস্কৃতিক জোট ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের বেশির ভাগ কর্মী চলে যাওয়ার পর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, বাসদকর্মী এস এম কাদির ও করিম আহত হন।
ঘটনা সম্পর্কে আহত ধীমান সাহা জুয়েল জানান, প্রথমে তিনজন উচ্ছৃঙ্খল যুবক এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচির শহীদ মিনারে টানানো ব্যানার কেটে ফেলে। মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড ছুড়ে ফেলে। তিন যুবকের মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। এ সময় তিনি এর প্রতিবাদ জানালে উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। তাঁর শার্ট ছিড়ে ফেলে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে বাসদকর্মী এস এম কাদির ও করিমকেও পিটিয়ে আহত করে।
ঘটনা সম্পর্কে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি জানান, ত্বকী হত্যা মামলার একজন ঘাতক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের উপস্থিতিতে, তার নির্দেশে, তার অফিসে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করে। আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে ১০-১২টি হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এরপরও যেহেতু সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে এ রকম হামলা স্বাভাবিক ঘটনা।
২০১৩ সালের ৪ মার্চ নিখোঁজের দুদিন পর ৬ মার্চ সকালে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ত্বকীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া র্যাব অভিযোগপত্রের খসড়া প্রকাশ করলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।