সার্চ কমিটিতে কাদের নাম গিয়েছিল জানতেন না এরশাদ
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির তৈরি করে দেওয়া সার্চ কমিটিকে জাতীয় পার্টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাদের নাম প্রস্তাব করেছিল তা জানতেন না দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
আজ বৃহস্পতিবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা কমিটি ও উপজেলা কমিটির যৌথ সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘কে এম নুরুল হুদা সিইসি হয়েছেন। খবরের কাগজে এসেছে, ওনার নাম নাকি জাতীয় পার্টি প্রস্তাব করেছিল। আমি জানি না, এটা সত্য না মিথ্যা। প্রচার হয়েছে, জাতীয় পার্টির লিস্টে ওনার নামটা ছিল। আমরা খুশি হয়েছি, আমাদের লিস্ট থেকে একজন সিইসি হয়েছেন।’
‘তবে এটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই’, যোগ করেন এরশাদ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে নবগঠিত ইসির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হন খান মোহাম্মদ নুরুল হুদা। ওই রাতেই এনটিভির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, সিইসি হিসেবে নুরুল হুদার নাম সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব করছিল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফফর)। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রস্তাবিত তালিকায়ও তাঁর নাম ছিল।
অনুষ্ঠানে এইচ এম এরশাদ আরো বলেন, ‘সৈনিক হওয়া সহজ, জীবন দেওয়া সহজ কিন্তু রাজনীতিবিদ হওয়া সহজ কাজ নয়। জাতীয় পার্টি একমাত্র শক্তি যারা দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।’
একই অনুষ্ঠানে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, দলীয় কর্মীদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করতে জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে। নড়া-চড়া করা যাবে না। না পার্টিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
সভায় ২২ মার্চ উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।