নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আজ সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ আহ্বান জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পদ্ম সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, এর পক্ষ নিয়ে সাফাই গেয়ে কথা বলেছেন ড. ইউনূস ও টিআইবিসহ দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি। কানাডার আদালতে প্রমাণ হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয় নাই। তাই এদের সবাইকে দেশবাসীর সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।’

যাঁরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

ড. ইউনূসের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তখন ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকে উচ্চপর্যায়ের লোকদের কাছে ইমেইল পাঠান যেন তাঁরা এ প্রকল্পে অর্থায়ন না করেন; যা সাম্প্রতিকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।’

কানাডার আদালতের রায়ে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে অভিমত প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, “এ রায়ের পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘কোথাকার কোন আদালত কী রায় দিয়েছেন তা নিয়ে আমরা ভাবি না।‘ তাদের এ বক্তব্য হচ্ছে গ্রাম্য মোড়লদের মতো। মোড়লরা যেমন বিচারে হেরে গেলে বলেন, যা বলেছি তো বলেছি। তার কথাও সেই রকম।’ তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবির রিজবী সাহেবরা এখন হেরে গিয়ে প্রাণীদের মতো ঘেউ ঘেউ করছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শ্রমবিষয়ক হাবিবুর রহমান।