এসপিকে ক্ষমা, আইজিপিকে দিতে হবে ব্যাখ্যা
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রয়াত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক দেখিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার ঘটনায় ক্ষমা পেয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্যের বেঞ্চ ক্ষমা ও ব্যাখ্যার আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে আজ হাজির হয়ে নুরুল ইসলাম লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। বিচারপতি শাহীনূর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ারদীর নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ শুনানি শেষে এসপিকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেন।
গত ৩১ জানুয়ারি প্রয়াত ওয়াজ উদ্দীনকে পলাতক ঘোষণা করে প্রতিবেদন দেওয়ায় ময়মনসিংহের এসপিকে তলব করেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আইজিপিকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এর আগে ১১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের প্রয়াত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রসিকিউশনকে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১০ জানুয়ারি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘মৃত ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের নজরে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের সাত মাস আগেই মারা যান ওয়াজ উদ্দিন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা ও গণহত্যা মামলার আসামি ওয়াজ উদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের অক্টোবরে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। শুরু থেকেই পলাতক দেখিয়ে তাঁকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর ওয়াজ উদ্দিনকে পলাতক ঘোষণা করে তাঁর পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ৭ মে ওয়াজ উদ্দিন মারা গেছেন। মৃত্যুর নয়দিন পর তাঁকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ আসে ট্রাইব্যুনাল থেকে। পরে তাঁকে হাজির করতে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এই মামলার অপর আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন।