এবার মুখোমুখি শুনানির আয়োজন
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও দায়িত্ব পালনে বাধার ঘটনা তদন্তে এবার একই দিনে মুখোমুখি হবেন সাংবাদিক, পুলিশ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। তদন্ত কমিটি এসব ব্যক্তিদের মুখোমুখি শুনানি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আগামী ১১ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে আলাদাভাবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, পুলিশ, সাংবাদিকদের শুনানি গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। শুনানিতে পুলিশ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ভোটের দিন সাংবাদিকদের নাজেহালের কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু গত ২ জুন সাংবাদিকদের শুনানিতে সাংবাদিকরা বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন। সেদিনই প্রয়োজনে মুখোমুখি শুনানির করার কথা জানান তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোহা. আনিছুর রহমান।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আব্দুল অদুদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আগামী ১১ জুন সাংবাদিক, দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপপরিদর্শক এবং দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটরা মুখোমুখি বক্তব্য দেবেন। সাংবাদিকরা ২৮ এপ্রিলের নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম এবং সাংবাদিক নাজেহালের যে সংবাদ প্রকাশ করেছে, তা কিছুটা নিশ্চয়ই হয়েছে। কিন্তু এর তো প্রমাণ লাগবে। তবে তাঁদের (সাংবাদিক) বক্তব্যের সঙ্গে ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বক্তব্যে অমিল পাওয়া গেছে। সেজন্য এবার মুখোমুখি শুনানি গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনের দিন বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের নাজেহালের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে শুনে পুলিশকে পর্যবেক্ষক নীতিমালা পড়ে শুনিয়েছি। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ নিশ্চিত করেছি।’
এরপর এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহা. আনিছুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে তাদের এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এদিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এক মাস সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিশন তদন্ত কমিটিকে এক মাসের সময় দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে কমিটিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।