ফায়ার সার্ভিসের এক গাড়িতে ছিল না পানি, আরেকটি রাস্তায় আটকে
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় দুটি ছাত্রীনিবাসে গত বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি। কিন্তু এর মধ্যে একটিতে ছিল না পানি। আরেকটি ছিল বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় আটকে। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
আগুনে ওই দুই ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মালিকরাও। প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। আগুনের জন্য তাঁরা দুষছেন ফায়ার সার্ভিসকে।
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ‘শশী’ ছাত্রীনিবাসের মালিক সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, পানি ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দ্রুত পানিসহ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যেত ।
‘অনিরুদ্ধ’ নামে আরেকটি ছাত্রীনিবাসের মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে ‘শশী’ ছাত্রীনিবাসে আগুন লাগে। তখন তিনি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। অনিরুদ্ধ ছাত্রীনিবাসে আগুন লাগার আগেই ফায়ার সার্ভিস এসে পৌঁছায়। কিন্তু তারা পানির ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাদের গাফিলতিতে ছাত্রীনিবাসের আটটি ঘর পুড়ে যায়। পরে ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। দ্রুত এবং পানিসহ ফায়ার বিভাগের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যেত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ ফায়ার বিভাগের সহকারী পরিচালক শহীদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পৌঁছায়। তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে থাকা বালুর ট্রাকের কারণে আটকে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয় সেটির। আরেকটি ইউনিটে পানি ছিল না। পরে ময়মনসিংহ থেকে অন্য একটি ইউনিট এসে আগুন নেভায়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা থাকতেন ওই দুটি ছাত্রীনিবাসে। আগুনে পুড়ে যায় শিক্ষার্থীদের বই-খাতা, ল্যাপটপসহ নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র। চলছে পরীক্ষা। তাই প্রয়োজনীয় বই-খাতা ও নোট হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রস্তুতির জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ক্লাস-পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার বরাবরে আবেদন করতে পারেন। সেখান থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।