ঢাকা বারের নির্বাচন শুরু কাল
এশিয়ার বৃহত্তম ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) ২০১৭-১৮ বর্ষের নির্বাচন আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে পরের দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
সকাল ৯টা থেকে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
এরই মধ্যে নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা বার এলাকায় উৎসবমুখর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এবারের নির্বাচনে বারের নিবন্ধিত ১৬ হাজার ১৮২ আইনজীবী তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচনে বরাবরের মতো আওয়ামী লীগপন্থী সাদা প্যানেল ও বিএনপিপন্থী নীল প্যানেলের মধ্যে লড়াই হবে। তবে বিগত বছর সবুজ প্যানেল থাকলেও এবার তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে না।
নির্বাচনে ২৭টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলসহ ৫৬ জন আইনজীবী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি সম্পাদকীয় পদ ও ১৫টি কার্যনির্বাহী সদস্যপদ রয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) মনোনয়ন পেয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু মনোনয়ন পেয়েছেন।
নীল প্যানেলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ প্রার্থী গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হন।
কার্যকরী পরিষদে সম্পাদকীয় পদে সাদা প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন—সিনিয়র সহসভাপতি পদে অ্যাডভোকেট কাজী শাহানারা ইয়ামিন, সহসভাপতি পদে মো. মঞ্জুর আলম মঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. হাসিবুর রহমান দিদার, সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসাইন পাটোয়ারী, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে এম মনিরুজ্জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ, দপ্তর সম্পাদক পদে আবদুর রশীদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা পলাশ এবং খেলাধুলা সম্পাদক পদে সাদিয়া আফরীন শিল্পী।
অন্যদিকে কার্য্যকরী পরিষদে সম্পাদকীয় পদের নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন—সিনিয়র সহসভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন, সহসভাপতি পদে কাজী মো. আবুল বারিক, ট্রেজারার পদে মো. লুৎফুর রহমান আজাদ, সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক পদের সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক পদে মো. সারোয়ার কায়ছার রাহাত, লাইব্রেরি পদে মো. আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহনাজ বেগম শিরীন, দপ্তর সম্পাদক পদের মো. আফানুর রহমান রুবেল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে এম এ বি এম খাইরুল ইসলাম লিটন এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম মনোনয়ন পেয়েছেন।
সাদা প্যানেলের ১৫টি সদস্যপদে মনোনয়ন পেয়েছেন—অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান অমি, মো. আল আমিন সরকার, মো. খোরশেদ আলম পারভেজ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, মোহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম, মিজ্জা মো. জামাল হেসাইন, মো. মোশারফ হোসাইন ভুইয়া মিশু, মোহাম্মাদ সাইফুজ্জামান টিপু, মো. আহসান হাবিব, সাবিনা আক্তার দিপা, সাদিয়া আফরোজা, সেখ সাইফুর রহমান সুমন, সজয় চক্রবর্তী, সুমন মিয়া ও ওয়ায়েস আহমেদ কায়েস।
অন্যদিকে সদস্য পদে নীল প্যানেলে মনোনয়ন পেয়েছেন—অ্যাডভোকেট আবু হেনা কাওসার, মো. আনোয়ার পারভেজ কাঞ্চন, মো. আরিফ হোসাইন তালুকদার, মো. শহিদুল্লাহ, মো. শাহীন হোসেন, মো. শওকত উল্লাহ, মোহাম্মাদ আবুল কাশেম, মোস্তফা সারওয়ার মুরাদ, মোসতারী আক্তার নুপুর, মোসা. মিনারা বেগম রিনা, মোসা. জেবুননেছা খানম জীবন, পান্না চৌধুরী, শাহনাজ পারভীন, সৈয়দ মোহাম্মাদ মাইনুল হোসেইন অপু ও তামান্না খানম আইরিন।
এ নির্বাচনে দুটি প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. হাবিবুর রহমান ও সদস্যপদে মৌসুমী আক্তার নির্বাচন করছেন। এই দুজনই আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও সমর্থিত দলের বাইরে নির্বাচন করছেন।
এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকার জেলা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) খন্দকার আবদুল মান্নানকে।