রাজপথে গণ-অবস্থানের ডাক জাতীয় কমিটির
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আগামীকাল শনিবার দেশব্যাপী গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ডাক দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। রাজপথ, সড়ক, মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এ জন্য দেশবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন কমিটির নেতারা।
নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে কর্মসূচি পালিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় শহীদ মতিউল কাদের চত্বরে (প্রেসক্লাব) অবস্থান নেওয়া হবে।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সুন্দরবন-বিনাশী যে প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে তাতে মৎস্যজীবী, বনজীবীসহ এ অঞ্চলের ৩৫ লাখ মানুষ তাদের জীবিকা হারাবে। অরক্ষিত হবে বাংলাদেশ। তাই আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছি। একই সঙ্গে আমরা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। জাতীয় কমিটির সাত দফার ভেতরই আছে জাতীয় সম্পদের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি। কিন্তু সরকার জনগণকে জিম্মি রেখে বৃহৎ সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়াতে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
এই কর্মসূচি দেশ ও মানুষের কল্যাণে ডাকা হয়েছে দাবি করে আনু মুহাম্মদ সারা দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবন-বিনাশী সকল অপতৎপরতা বন্ধ এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ জাতীয় কমিটির সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশেই এই কর্মসূচি পালিত হবে। আপনি যেখানেই থাকেন, সেখানে জাতীয় কমিটির কর্মসূচি বা ব্যানার যদি না পান, তাহলে আপনি নিজেই অবস্থান নিন।’
এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জনগণকে জিম্মি রেখে বৃহৎ সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়াতে সরকার আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য বহুমুখী দাম ও ব্যয় বৃদ্ধির চাপ এ দেশের নাগরিকদের বহন করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এতদিন ধরে এত কমে স্থিত থাকা সত্ত্বেও সরকার তেলের দাম না কমিয়ে দেশবিনাশী ঋণ ও দুর্নীতিনির্ভর প্রকল্পে অর্থ জোগানে তেল বেচা অর্থ ব্যবহার করছে। একই কারণে আবার গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে। আমরা গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে সাত দফা দাবিতে বিভিন্ন পথ দেখিয়েছি। কিন্তু সরকার এসব কম ব্যয়বহুল, নিরাপদ, টেকসই এবং জনপরিবেশ-অনুকূল পথে না গিয়ে দেশি-বিদেশি কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থে তার উল্টোযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।’