গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি : হরতালে বিএনপির সমর্থন
গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ডাকা হরতালে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। গ্যাসের পর বিদ্যুতেরও দাম বাড়ানো হলে দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দনগর আখ খামারে জেলা ইজতেমার মোনাজাতে অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখেছি এরই মধ্যে একটি রাজনৈতিক দল বাম গোষ্ঠী সিপিবি, বাসদ এবং অন্যান্য বামপন্থী দলগুলো ২৮ তারিখে অর্ধবেলা একটা হরতাল ডেকেছে। আমরা মনে করি অর্ধবেলা হরতালটি একটা প্রতিবাদ এবং এই হরতালে সবারই অংশগ্রহণ করা উচিত, সমর্থন দেওয়া উচিত। আমাদের দলের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদের সমর্থন জানাচ্ছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সেভাবে তাদের আয় নেই। কিন্তু একটার পর একটা সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। তাতে করে এখন এই গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি, প্রতিবাদ করেছি এবং সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি, এই গ্যাসের যে দাম বাড়ানো হয়েছে এটা যেন প্রত্যাহার করা হয়, মানুষকে যেন একটা প্রশান্তি দেওয়া হয়।’
গ্যাসের সঙ্গে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একদিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরো বাড়বে এবং নেগেটিভ এপ্রোচ শুরু হবে। বৈদেশিক মুদ্রা যে অর্জন করি আমরা, সেটা আসে মূলত আরএমজি (তৈরি পোশাক শিল্প) আর রেমিটেন্স থেকে। গ্যাস আর বিদ্যুতের ওপর কিন্তু আরএমজি প্রোডাক্শনটা নির্ভর করে। সেই ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটা একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দেশ, অর্থনীতি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর রহমান ও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমিনসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে আধা বেলা হরতাল ডেকেছে সিপিবি ও বাসদ।