বিএনপিকে জামায়াতনির্ভর রাজনীতি ছাড়ার তাগিদ
জামায়াতনির্ভর রাজনীতি ছেড়ে বিএনপিকে আবার জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে ফিরে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আর রাজনীতির সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা এবং রাজনীতিবিদদের দূরদর্শিতা আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও দিলারা চৌধুরী।
urgentPhoto
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম মুকুলের লেখা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ে উঠে এসেছে সাবেক মন্ত্রী, শিল্পপতি মাঈদুল ইসলাম মুকুলের রাজনৈতিক জীবনের নানা ঘটনা ও মতামত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা চাইলেও অনেক সত্যি কথা লিখতে পারেন না। আমি ও লেখক একসময়ে জিয়াউর রহমানের বিএনপি করতাম। এই দলটিকে আবারও সেই রাজনীতিতেই ফিরতে হবে।’
‘বিএনপির একটি স্টেজ ছিল : জিয়াউর রহমানের রাজনীতি; তারপর এলো খালেদা জিয়ার রাজনীতি। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তারপর শেষ থার্ড স্টেজ আছে জামায়াতনির্ভর খালেদা জিয়ার রাজনীতি। এই স্টেজ বেশি দিন থাকবে বলে মনে হয় না। কারণ চতুর্দিকে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপও খুব বেশি। কিন্তু একটি চতুর্থ স্টেজ আসতে বাধ্য। যখন ঘুরেফিরে আবার জিয়াউর রহমানের রাজনীতি তুলে ধরবে। যদি তারা বাঁচতে চায় আবার গ্রামে গ্রামে চলে যাবে,’ যোগ করেন বিকল্পধারার সভাপতি।
বক্তাদের অনেকেই বইটি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে সমালোচনা করেন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কী করা উচিত সেটা ভালোভাবে জেনে-বুঝে রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর তাঁদের পক্ষে যা করা সম্ভব হয়নি, সে সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের জন্য লিখিত দিকনির্দেশনা রেখে গেলে দেশকে আরো দ্রুত সামনে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তাঁরা ভাবনা খুব কম করেন। পড়াশোনার দিক থেকেও আরো কম। আর লেখার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর কম। লেট দেম থিংক অব দ্য কান্ট্রি এ লিটল বিট মোর (তাদের আরেকটু বেশি ভাবতে দিন)। যেসব জায়গায় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, কোন প্রক্রিয়ায় হয়েছে এই সম্পর্কে লেট দেম নো ফুল্লি (তাদের বিস্তারিত জানান)। এগুলো আমাদের সন্তানদের সামনে তুলে ধরা হোক।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্র দরকার, সুশাসন দরকার এবং এই দুটি পাওয়ার প্রথম ধাপই হলো একটি সুন্দর নির্বাচন করা, যেখানে সমস্ত সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। যাতে যে সরকার গঠিত হবে সেই সরকারের নীতিতে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।’
প্রকাশিত বইটি রাজনীতির অঙ্গনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অন্য রাজনীতিবিদদের বই লিখতে উৎসাহ জোগাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।