কুমিল্লায় বিদ্রোহীমুক্ত আ. লীগ-বিএনপি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
শেষ দিন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে দুই দলের কোনো নেতা বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনজুম সুলতানা সীমা কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দুপুর ১টার দিকে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আসেন সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রকিব উদ্দিন মণ্ডলের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, এ ছাড়া আরো তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাঁরা হলেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) মনোনীত প্রার্থী সোয়েবুর রহমান, জাসদ জাতীয় সমাজতন্ত্রিক দল (জেএসডি) মনোনীত প্রার্থী শিরিন আক্তার এবং স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মেজর (অব.) মামুনুর রশিদ।
রকিব উদ্দিন মণ্ডল আরো জানান, এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের জন্য ৪২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ ও ৬ মার্চ মনোনয়নপত্র যাচাই ও বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ আগামী ১৪ মার্চ। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে আগামী ১৫ মার্চ। ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সিটি নির্বাচন।
২০১১ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় কুমিল্লা পৌরসভা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভার অস্তিত্ব বিলুপ্ত করা হয়। ওই বছর ১০ জুলাই এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
সিটি করপোরেশন গঠনের পর ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেন। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আফজল খানকে পরাজিত করেন। জয়ী হয়ে আবার নিজ দল বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। আফজল খান এবার আর প্রার্থী হননি, তবে এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে আনজুম সুলতানা সীমা।
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সমর্থন না পেয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। তিনি ওই নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। ভোট পেয়েছিলেন প্রায় সাড়ে আট হাজার।
এবারও তানিম নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হননি। ফলে এ ভোটযুদ্ধে শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিদ্রোহীমুক্ত হয়ে লড়াইয়ে নামল।