কথিত পীর ও নারী মুরিদকে গলা কেটে হত্যা
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি দরবার শরিফে কথিত পীর ও তাঁর এক নারী মুরিদকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দৌলাগ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ঘটনাস্থলে থাকা জেলা পুলিশ সুপার হামিদুল হক জানান। তিনি আরো জানান, পুলিশ এরই মধ্যে তদন্তে নেমে গেছে। সিআইডির সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করছেন।
কথিত পীরের নাম ফরহাদ হোসেন চৌধুরী (৬০)। তিনি দিনাজপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি। তবে গত ৮-১০ বছর তিনি রাজনীতির বাইরে ছিলেন। আর নারী মুরিদের নাম রূপালী বেগম (২৮)। তাঁর স্বামীর নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনিও পীরের মুরিদ।
রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দৌলাগ্রামের একটি বাড়িতে এই দরবার শরিফটির অবস্থান। এর নাম ‘মোহাম্মদী কাদেরিয়া দরবার শরিফ’। এর মধ্যে দুটি ঘরে রক্তমাখা দুটি লাশ পড়ে রয়েছে। সেখানে সিআইডিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। খবর পেয়ে কথিত পীরের মুরিদ ও স্বজনরা সেখানে ছুটে আসেন।
এলাকাবাসী জানান, ফরহাদ হোসেন চৌধুরী পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গায় থাকেন। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সন্তানদের নাম আশিক, এমি ও অর্ণব।
প্রতিবেশী অনিক নামের এক যুবক এনটিভি অনলাইনকে জানান, সাত-আট বছর ধরে এই দরবার শরিফটি চলছে। এটি চালাতেন ফরহাদ হোসেন চৌধুরী। সেখানে প্রতিদিন রাতে মুরিদরা আসতেন এবং জিকির করতেন। বিকেলের দিকে ফরহাদ হোসেন শহর থেকে গাড়ি করে দরবার শরিফে চলে আসতেন।
আজ জিকির শুরুর আগে আগে, তখনো লোকজন জড়ো হয়নি এমন সময় ছয়-সাত দুর্বৃত্ত দরবার শরিফে ঢুকে প্রথমে কথিত পীরকে চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও গলা কাটে। পরে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় রূপালী বেগম চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা একই কায়দায় তাঁকেও পাশের আরেকটি ঘরে হত্যা করে।
অনিক আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার সিরাজুলের সঙ্গে রূপালী বেগমের বিয়ে হয়। রূপালী দরবার শরিফের শুরু থেকেই এখানে আছেন।